গুগলের এডসেন্স একাউন্ট ব্যান / বন্ধ / নিস্ক্রিয় হয়ে গেলে কি করবেন?
Tuesday, February 28, 2012 Category : Google adsense 0
গুগল এডসেন্স নিয়ে ব্লগ লেখা শুরু করার পর থেকে অনেকেই আমাকে প্রকাশ্যে কিংবা ইমেইল করে প্রশ্ন করেছেন গুগলের এডসেন্স একাউন্ট ব্যান বা বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন? যদি এক কথায় উত্তর চান, তবে এডসেন্স একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কিছুই করার নাই, তবে বন্ধ যাতে না হয় সেজন্য বন্ধ হবার আগেই বন্ধ হবার কারনগুলো জানুন আর গুগলের সাথে প্রতারনা থেকে দূরে থাকুন।
আমি আজ র্পযন্ত একজন ব্যতীত কারোই গল্প শুনি নাই যে তার একাউন্ট বাতিল হবার পর আবার সেই একাউন্ট সচল হয়েছে। সম্প্রতি Aaron Greenspan গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হয়ে যাবার পরে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করার পর বিচারক গুগলকে তার একাউন্টে থাকা $721 টাকা ফেরত দেবার নির্দেশ দেয়। এটাই এডসেন্সের ইতিহাসে টাকা ফেরত পাবার প্রথম ঘটনা। তবে তার একাউন্ট সচল হয় নি।
তাই যা করার আগেই করুন … একাউন্ট নিস্ক্রিয় হবার পর শত চেষ্টা করেও লাভ হবে না, বাতিল হয়ে যাওয়া একাউন্ট ফেরত পাবেন না।
প্রধান কি কি কারনে একাউন্ট বাতিল হয়?
১. সবচেয়ে বড় কারন হল, ইচ্ছাকৃত এ্যাডে ক্লিক করা। দিনে রাতে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকার স্বপ্ন নিয়ে একেকজন এডসেন্স একাউন্ট খুলে কিন্তু বাস্তবিকতা পুরোপুরি ভিন্ন – আর দশটা পেশার মতো টাকা কামাতে এডসেন্সের জন্যেও প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য্য আর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। আর এসবের অভাবে নতুন এডসেন্স পাবলিশাররা সহজেই হতাশ হয়ে পড়েন এবং নিজেদের এ্যাডে নিজেরাই ক্লিক করেন কিংবা অন্যদের ক্লিক করতে উৎসাহিত করেন। এটা কোনো অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। কোনো ক্লিক না পেলে ওয়েবসাইট করাই বাদ দেন – তবুও নিজের এ্যাডে ক্লিক করবেন না। আমও যাবে, ছালাও যাবে।
২. অনেক ওয়েবসাইট বলে, তাদের সদস্য হলে নাকি তারা হাজার হাজার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেবে। এধরনের ওয়েবসাইট কিংবা প্রোগ্রামগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এগুলোর মাধ্যমে যদি অবৈধ ক্লিকও না পড়ে, তবুও অবৈধভাবে পেজ ইমপ্রেশন সৃষ্টির দায়ে বিনা নোটিসে আপনার একাউন্ট বাতিল হতে পারে। তাই কোনোরুপ কৃত্রিম উপায়ে ভিজিটর বাড়াতে চেষ্টা করবেন না।
৩. পর্ণসাইট, কাট-কপি-পেষ্ট করা লেখার ওয়েবসাইট (কপিরাইট ভঙ্গ হলে), পাইরেট সফটওয়ার ডাউনলোড, জুয়া, নিষিদ্ধ ঔষধ কিংবা মাদকদ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করে এমন ওয়েবসাইটে এ্যাড বসালে একাউন্ট বাতিল হতে বাধ্য।
৪. অনেকে পন্ডিতি ফলাতে এডসেন্সের কোড পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। এটা করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। অযথা কোড পরির্বতের চেষ্টা করবেন না। রং, ফন্ট, সাইজ ইত্যাদি যদি পরিবর্তন করতেই হয়, তবে এডসেন্স একাউন্টে ঢুঁকেই পরিবর্তন করুন।
৫. অনেকে এ্যাডের পাশে লিখে দেয় – “আমাদের সাহায্য করুন”, “এই সাইটগুলো ভিজিট করুন”, “এখানে ক্লিক করুন” কিংবা “প্রিয় ওয়েবসাইট” – এগুলো পাঠককে এ্যাডে ক্লিক করতে উৎসাহিত করারই নামান্তর। এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৬. একটা কারন অনেকেই জানেন না, কোনো ছবির ঘেঁষে এ্যাড বসানোও অবৈধ। কারন এতে পাঠক বিভ্রান্তিত হয়ে এ্যাডে ক্লিক করতে পারে। তাই একান্তই ছবির পাশে এ্যাড বসাতে হয়, তবে ছবি আর এ্যাডের মধ্যে নিরাপদ দুরত্ব রাখুন দুটোকে আলাদাভাবে চেনা যায়।
৭. আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি – গুগল নতুন পাবলিশারদের প্রতি খুবই কঠোর। পান থেকে চুন খসলেই আপনার খবর আছে। তাই প্রথম অবস্থায় খুবই সর্তক থাকতে হয়। গুগলের সাথে চালাকি করার জন্য আপনি যদি ১০ টা উপায় বের করে থাকেন, তবে আপনাকে ধরার জন্য অনেক আগেই তারা ১০০০ টা উপায় বের করে রেখেছে, তাই প্রতারনা করে রেহাই পাবেন না।