১১ বছরের প্রতিভাবান সেই হ্যাকার ছেলেটি
Posted on Monday, February 27, 2012
|
No Comments
ছবিতে যাকে দেখছেন এ কোন সাধারণ ছেলে ছিলোনা; ১৯৮৮ সালে সিয়াটলের কিশোর ডেড "জিরো কুল" মারফিকে গ্রেপ্তার করা হয় এক কঠিন অপরাধে।
তাঁর উপর অভিযোগ ছিলো সে মাত্র একদিনে ১,৫০৭ টি সিস্টেম ক্র্যাশ করেছে, যার ফলে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক একবারেই ৭ পয়েন্ট নেমে গেছে। এ ঘটনাটি ঘটাবার সময় ডেডলির বয়স ছিলো মাত্র ১১।
এমন কঠিন অপরাধের শাস্তি হিসেবে; যেকোনো প্রকার কম্পিউটার ও টেলিফোন যন্ত্রাংশ ধরা ও পরিচালনা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তার।
ডেডলির বয়স ১৮ হবার কিছুদিন আগে তাঁর মা (ততো দিনে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া) নিউ ইয়র্ক সিটিতে কাজ নেন। এখানেই কিন্তু শেষ নয়।
১৮ হবার পর ডেডলি একটি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন করে কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে মডেমের ফোন নম্বর যোগাড় করে (সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে)। কারন এবার যে বিশাল হ্যাক করে ফেলবে :)
এরপর সে সফলতার সাথে ঐ টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সিস্টেম হ্যাক করে এবং সেই সময় প্রচারিত হতে থাকা একটি অনুষ্ঠান পাল্টে দ্য আউটার লিমিটস-এর একটি পর্ব প্রচার করা শুরু করে।
ঠিক সে সময় সে ঐ নেটওয়ার্কেই আরেক জন হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হয়, এবং সিস্টেম থেকে অপসৃত হয়। ধারণা করা হয় সেই হ্যাকার হচ্ছে এসিড বার্ন।
কেউ কি আঁচ করতে পেরেছেন আমি কোন ঘটনার কথা বলছি :)
আপনি যদি ১৯৯৫ সালের সাড়া জাগানো ‘’দি হ্যাকারস’’ মুভি টা দেখে থাকেন, তাহলে উপরের ঘটনাটা আপনার চিন্তার সাথে মিলে যাওয়ার কথা।
→→ হ্যাকারস (ইংরেজি ভাষায়: Hackers), ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া একটি আমেরিকান রহস্যচলচ্চিত্র। ছবিটির পরিচালক ছিলেন ইয়ান সফটলে, এবং শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন, জনি লি মিলার, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, ও ম্যাথিউ লিলার্ড।
চলচ্চিত্ররূপ দিয়েছেন ম্যাথিউ মোরু। ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে মূলত হ্যকার ও সাইবার অপরাধীদের নিয়ে। ছবিতে দেখা যায়, কিছু স্কুল পড়ুয়া অসম্ভব প্রতিভাশালী হ্যকার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।